সেদিন আবার একটা ফুটো করলো ওরা --
কী যেন কারণ বুঝিয়েছিল আমাদের,
কী যেন উপকার হবে বলেছিল,
সে-সব আজ আর মনে নেই...
দু-বছর আগে, ২০১৪-র ১৯ মে,
আমরা আশায় বুক বেঁধে দেখলাম -আবার একটা ফুটো করলো ওরা।
কী যেন কারণ বুঝিয়েছিল আমাদের,
কী যেন উপকার হবে বলেছিল,
সে-সব আজ আর মনে নেই...
দু-বছর আগে, ২০১৪-র ১৯ মে,
আমরা আশায় বুক বেঁধে দেখলাম -আবার একটা ফুটো করলো ওরা।
আজ, দুবছর পর -
আমি একডালিয়ার মোড়ে
থমকে দাঁড়াই!
কালোজাম ঝুড়িবর্তি!
কিনে নিই, বাবার জন্য -
ভাবা মাত্রই হোঁচট।
নেই।
যে কালোজাম খেত,
যার জন্য গতবছরও
কিনেছি, যখন যেখানে পেয়েছি,
সে আর নেই।
পাশের ঝুড়িতে ফুলের মালা।
"একটা বেলীফুলের মালা দাও, মাসি" -
গলাব্যথাটা গিলে নিয়ে,
আজ তোমার ছবির জন্যই ...
দুবছর আগে, তোমার দ্বিতীয় অপারেশনের পর
ক্লান্ত আমরা, চিন্তায় অবসন্ন...
বাড়ি ফিরে হাসপাতালে ফোন,
"কেমন আছেন?"
নার্সের বাঁধা গতে উত্তর,
"একইরকম"।
শুয়ে পড়ি, ভোরে উঠেই
হয় ভাই ফোন করবে, নয় আমি।
ফোনের শব্দে চমকে ঘুম ভাঙে!
২০মে, ২০১৪। ঘড়ি না দেখেই ফোন ধরি।
সেজোমাসি চলে গেছে ভোররাতে,
বড়ো অবহেলায়, বড়ো অভিমান নিয়ে।
সেজোমাসিকে শেষ দেখা
(যে দেখা না দেখলেই ভালো ছিল)
দেখতে মা-কে নিয়ে গাড়িতে চলেছি,
বাবা-র আজ জ্ঞান ফিরবে তো?
কে জানে!
No comments:
Post a Comment